বলিউড অভিনেত্রী রাখি সাওয়ান্তের সাবেক স্বামী আদিল খান দুরানি তাকে ছেড়ে ফের বিয়ে করেছেন। এমনকি সামাজিকমাধ্যমে নতুন বউয়ের সঙ্গে ছবি পোস্ট করে সুখী দাম্পত্যের কথাও জানিয়েছেন আদিল। আর তা দেখেই এবার খেপেছেন রাখি সাওয়ান্ত। তিনিও পোস্ট করলেন তার মনের কথা। রাখির কথায়, আদিলকে তার শরীর ব্যবহার করে ছেড়ে দিয়েছেন!
গত বছর জুলাই মাসে আদিলকে বিয়ে করেন রাখি সাওয়ান্ত। আদিলের সঙ্গে সংসার শুরু করার জন্য মুসলিম ধর্মও গ্রহণ করেন রাখি। কিন্তু বছর ঘোরার আগেই আদিল ও রাখির সংসারে অশান্তি শুরু হয়। এমনকি খবর রয়েছে আদিলের সঙ্গে নাকি রাখির বিবাহবিচ্ছেদও হয়নি।
সামাজিকমাধ্যমে রাখি জানান, ‘আমি নিজেকে নিয়ে গর্বিত। আমি সব ধরনের যন্ত্রণা, পারিবারিক সমস্যা, বিশ্বাস, হার্টব্রেক, নিরাপত্তাহীনতা, বিষণ্নতা ইত্যাদির মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। আমি এসবের সঙ্গে লড়াই করেছি। আমার শরীর নিয়ে খেলেছে আদিল। কিন্তু আমি হেরে যাইনি।’
এক বিনোদনভিত্তিক সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে রাখি আদিলের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ আনেন। তিনি জানান, তার জন্য নয়, নিজের ইরানি প্রেমিকার জন্যই ছয় মাস জেলে ছিলেন আদিল। রাখির অভিযোগ, ভায়াগ্রা জাতীয় ওষুধ খায় আদিল। যার প্রভাব চার ঘণ্টা পর্যন্ত থাকে। পুলিশও সেই ওষুধ পেয়েছে। ওষুধ খাওয়ার পর আদিলের অত্যাচার শুরু হতো।
রাখির অভিযোগ, মধুচন্দ্রিমাতেও আদিলের বিকৃত কামের শিকার হয়েছেন তিনি। বাথরুমেও নাকি ছাড় পেতেন না তিনি। রাখি জানান, তার একাধিক নগ্ন ভিডিও আদিলের কাছে রয়েছে। এর পরই আবার সাংবাদিককে মোবাইল দেখিয়ে বলেন, ‘এই দেখুন ৪৭ লাখ টাকা ওর অ্যাকাউন্টে। এত্ত টাকায় নগ্ন ভিডিও বিক্রি করেছে আদিল’। নিজের বাড়িতে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন রাখি।
এর আগে আদিল বলেছিলেন, ‘রাখির মতো মহিলাদের সঙ্গে কথা বলাও বিপজ্জনক। সংবিধানে নারী সুরক্ষার যে আইন রয়েছে তা ব্যবহার করে যা খুশি তাই করতে পারে।’
আদিলের অভিযোগ, আগের স্বামী রীতেশ সিংকে ডিভোর্স না দিয়েই তাকে নিকাহ করেছিলেন রাখি। অভিনেত্রী দাবি করেছিলেন, তিনি আদিলের থেকে সাত বছরের বড়। কিন্তু আদিলের দাবি তিনি রাখির থেকে ১৯ বছরের ছোট। ভিডিওকল সেশনে রাখি তার নগ্ন ভিডিও শুট করেছিল বলেও অভিযোগ আনেন আদিল।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।